স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসাইন কবিরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসাইন কবির দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের মনগড়া মতো বিদ্যালয়ের পাঠদান থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের যাবতীয় কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায়ও তিনি নিয়মিত স্বাক্ষর করেন না।
একটি সূত্র জানায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের সকল অর্থ বিদ্যালয়ের নামে ব্যাংক একাউন্টে জমা থাকবে। সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক তার হাতে নগদ রাখতে পারেন। কিন্তু শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে লক্ষাধিক টাকা হাতে নগদ রাখেন। বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকা তিনি ব্যাংকে না রেখে নিজ হাতে রেখে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যেই হয়তো নিজ হাতে রাখেন বলে সচেতন মহলের ধারণা। এ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ জনসাধারণের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ অসন্তোষ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষক হোসাইন কবির তার নিজের মনগড়া মতো বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন। তিনি সবসময় তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। সে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে সবসময় গ্রুপিং করে নিজস্ব সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে বিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দ পাওয়া অর্থ শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার ও তার সিন্ডিকেট এর বিরুদ্ধে যারাই কথা বলবে তাদের উপর মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে ও বিভিন্নভাবে হয়রানির করার অভিযোগও রয়েছে প্রধান শিক্ষক হোসাইন কবিরের বিরুদ্ধে।
এদিকে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাৎসরিক চার থেকে পাঁচটা পরিচালনা কমিটির সভা হয়ে থাকে। এছাড়া বাৎসরিক একবার মিলাদ মাহফিল ও শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান না করে এসবের নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসাইন কবিরের এসব অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এসব অনিয়ম দূর্নীতির খুঁজে তদন্ত শুরু করেছেন। খুব শীঘ্রই তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর ০১৭১২২৫৪২১৬ এ একাধিকবার কল করেও নাম্বারটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply