স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি   

ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজ এর সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে সুরক্ষার জন্য পবিত্র ঈদকে সামনে রেখেও জেলায় দোকান পাট এবং শপিংমল খোলা হবে না। তিনি বলেন, কুভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সারা বিশ্বে মহামারি আকারে বিস্তার লাভ করেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে এ ভাইরাসের আক্রমণের ফলে জীবনযাত্রা প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। জনগণকে এ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সে প্রেক্ষিতে সরকার করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে বিস্তার রোধকল্পে গত ২৬ মার্চ ২০২০ থেকে পর্যায়ক্রমে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন যা আগামী ১৬ মে ২০২০ পর্যন্ত বলবৎ আছে। পরবর্তী পর্যায়ে পবিত্র ঈদকে কেন্দ্র করে সীমিত আকারে দোকান পাট এবং শপিংমল আগামী ১০ মে ২০২০ তারিখ থেকে শর্ত সাপেক্ষে খোলার অনুমতি প্রদান করেছেন।
শুক্রবার (০৮ মে) সকাল ১১ টায় জেলা শহরের মসজিদ রোডস্থ চেম্বার ভবনে সকল মার্কেট কমিটির ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের দোকানপাট খোলা না রাখার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার জন্য আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।             

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সহ-সভাপতি মোঃ শাহজাহান মিয়া, পরিচালক আলহাজ্ব মমিনুল আলম বাবু, আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম, তানভীর আহমেদ, মোঃ নুরুজ্জামান ভূঁইয়া, আবুল খায়ের ও চেম্বার সচিব মোঃ আজিম উদ্দিন সহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক এবং বিভিন্ন মার্কেট কমিটির নেতৃবৃন্দ। 
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আগামী ১০ মে থেকে শর্ত সাপেক্ষে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার সরকারি নির্দেশনার আলোকে গতকাল ০৭ মে, বৃহস্পতিবার ২০২০, দুপুর ১২ ঘটিকার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এবং বিভিন্ন মার্কেট কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সেনা বাহিনীর প্রতিনিধি, পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার ও প্রশাসনের অন্যান্য প্রতিনিধিগণসহ বিভিন্ন মার্কেট কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
অনুষ্ঠিত বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, কাপড়, জুতা ও ঈদকে কেন্দ্র করে সাধারণত ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে থাকে। সারা বছর তাদের তেমন কোন ব্যবসা বাণিজ্য থাকে না। এছাড়া ব্যবসায়ীরা পবিত্র ঈদকে কেন্দ্র করে কাপড়, জুতা ও ঈদ কেন্দ্রীক পণ্য সামগ্রী স্টক করে থাকে। বর্তমানে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে লকডাউনের ফলে শুরু থেকেই ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ। এতে বিশেষ করে কাপড়, জুতা ও ঈদ কেন্দ্রীক ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তবুও ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর জনস্বাস্থ্য বিবেচনা বিভিন্ন মার্কেট কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের মতামতের ভিত্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী ১০ মে ২০২০ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে দোকান পাট এবং শপিংমল খোলা হবে না। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে তাদের আর্থিক ক্ষতি হওয়া সত্বেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে সুরক্ষার জন্য তাদের অধিকারকে বিসর্জন দিয়েছেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।