স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জায়গা জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে সুহেল মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। 
আজ শনিবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুর ১ টায় ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত সুহেল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতান ইউনিয়নের উড়শিউড়া পাথৈরহাতা গ্রামের মোঃ আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে। 
হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতান ইউনিয়নের উড়শিউড়া পাথৈরহাতা গ্রামের মোঃ আব্দুর রহিম মিয়ার সাথে প্রতিবেশী মোঃ খালেক খান এর ছেলে মোঃ রমজান মিয়া (৫৫) ও লতিফ খান (২৫) এবং রহিম খানের ছেলে গিয়াস উদ্দিন খান (৫০) ও শফিকুল খান (৩৫) এর সাথে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এসব ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। 
এসব বিরোধের জেরধরে গতকাল শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) বিকেলে সুহেল মিয়া বাড়ি থেকে বের হয়। পরে রাত সাড়ে ৯ টায় সুহেলকে মারধোরকরে জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে বাড়ির সামনে গেইটে ফেলে দিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় সুহেলের আত্মচিৎকারে বাড়ির লোকজন বের হয়ে তাকে অজ্ঞান ও অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় সুহেলের মুুুখ দিয়ে ফেনা ও বিষের গন্ধ বের হচ্ছে দেখে আসপাশের লোকজন ও পরিবারের লোকজন সুহেলকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তার মুখ দিয়ে নলডুকিয়ে বিষ বের করেন। পরে তার শারিরীক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক সুহেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেন। রাত ১২ টায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুহেলকে এম্বুলেন্স দিয়ে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার দুপুর ১ টায় সুহেল মারা যান। 
এ ব্যাপারে নিহত সুহেলের মা জায়েদা বেগম হাসপাতালে ছেলের পাশে বসে এ প্রতিবেদককে জানান, আমার ছেলে সুহেলকে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে প্রতিবেশী খালেক খানের ছেলে রমজান খান, লতিফ খান ও রহিম খানের ছেলে গিয়াস উদ্দিন খান ও শফিকুল খান মিলে মারধোর করে জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার ছেলে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। 

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরূরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ আরিফুজ্জান জানান, রোগীর ভেতর থেকে প্রচুর পরিমাণ কেরোসিন জাতীয় বিষ পাওয়া গেছে। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। 
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।